প‍্যাকেজিং এর কাজ দেওয়ার নামে মহিলাদের সাথে প্রতারনা : প্রতারকদের পর্দা ফাঁস

30th August 2020 5:54 pm হুগলী
প‍্যাকেজিং এর কাজ দেওয়ার নামে মহিলাদের সাথে প্রতারনা : প্রতারকদের পর্দা ফাঁস


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  বেঙ্গল কেমিকেলস এর পণ্য প্যাকিং এর কাজের নাম করে প্রতারণা। সাবান প্যাকিং করার জন্যে মহিলা দরকার। মহিলাদের গোষ্ঠী হলে নাকি ভাল হয়। একক ভাবে প্যাকিং এর কাজ করতে লাগবে মাত্র ১৫ টাকা, আর গোষ্ঠীর জন্য লাগবে ৩২৫ টাকা। আর প্যাকিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জনের স্বপ্ন দেখানো হয়। বেশ অনেকদিন ধরেই নীল সেনগুপ্ত নাম ভাঙ্গিয়ে চক্র বিস্তার করছিল চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার সঞ্জীব ঘোষ। হুগলির বলাগড় ,  গুপ্তিপাড়া, চুঁচুড়া বাঁশবেড়িয়া ত্রিবেণী সহ একাধিক এলাকা থেকে কাজ দেওয়ার নামে টাকা তোলে সঞ্জীব বলে অভিযোগ । নিজেকে বেঙ্গল কেমিকেলস এর দায়িতপ্রাপ্ত আধিকারিক পরিচয় দিয়ে জাল বিস্তার করার কাজ চালাতে থাকে। আর মিষ্টি কথার জালে পা দিয়ে প্রতারিত হতে থাকেন শহর এবং গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার মহিলা। রবিবার এমনই এক কাজ দেওয়ার সভা চলছিল। কথা বার্তায় অসঙ্গতি নজরে পড়ায় বাঁশবেড়িয়া হারকল মাঠ এলাকার বাসিন্দাদের । হাতেনাতে ধরা পড়ে সঞ্জীব। স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরার মুখে সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয় সে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।